যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (DSCA) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই সম্ভাব্য অস্ত্র বিক্রির মধ্যে রয়েছে—
১. ৩ হাজার ৮শ’ ৪৫টি কেএমইউ- ৫৫৮বি/বি জয়েন্ট ডাইরেক্ট অ্যাটাক মিউনিশন (জেডিএএম) গাইডেন্স কিট।
২. ৩ হাজার ২শ’ ৮০টি কেএমইউ- ৫৭২ এফ/বি জেডিএএম কিট।
এছাড়া প্রকৌশল, লজিস্টিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বিবৃতিতে DSCA বলেছে,
“এই প্রস্তাবিত বিক্রি ইসরায়েলের সীমান্ত, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও জনবসতি রক্ষার সক্ষমতা বাড়িয়ে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ হুমকি মোকাবেলায় সাহায্য করবে।”
এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো, যখন গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৫০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন—এই সংখ্যাটি গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। শুধু গতকাল (৩০ জুন) একদিনেই ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলায় ৯৭ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত ও বেসামরিক।
মার্কিন অস্ত্র সহায়তার এই সিদ্ধান্ত বিশ্বজুড়ে নিন্দার মুখে পড়েছে। সমালোচকরা বলছেন, গণহত্যার অভিযোগ ও যুদ্ধাপরাধের তদন্ত চলাকালে এমন সহায়তা আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি অসম্মান।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (ICC) গত নভেম্বরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়া, গাজায় ইসরায়েলি অভিযানকে “গণহত্যা” হিসেবে আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতেও (ICJ) মামলা চলমান রয়েছে।
তবে এসবের মাঝেও যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ যেন স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে—আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিতর্কের চেয়ে কৌশলগত মিত্রতা তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।